এমপিদের প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়নে অক্টোবরে শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের মাঠ জরিপ

ডেস্ক রিপোর্ট •

১লা অক্টোবর থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের জরিপ শুরু হচ্ছে। জাতীয় সংসদের সদস্যদের প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়নের জন্য এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য এই জরিপ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন যে, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ এভাবে প্রতি ছয় মাস পরপর এরকম ১টি করে জরিপ করতে পারবে। গত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ১২টি জরিপ করেছিল।

এবারও এরকমভাবে অনেকগুলো জরিপ হবে বলে জানা গেছে এবং একটি নিরপেক্ষ জরিপ সংস্থা এই মাঠ পর্যায়ের জরিপ করবে বলে জানা গেছে। মূলত পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের জরিপ শুরু হচ্ছে।

প্রথমত, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি যিনি তার কাজে এলাকাবাসী সন্তুষ্ট কিনা এবং তার কাজে এলাকাবাসী কতটুকু সন্তুষ্ট।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান সংসদ সদস্য নির্বাচনের সময় যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা কতটুকু প্রতিপালিত হয়েছে এবং সেই বিষয়ে জনগণ কি মনে করেন।

তৃতীয়ত, এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্য কোন নেতা আছেন কিনা যিনি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অনেক ভালো কাজ করেছেন এবং এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ছেন।

চতুর্থত, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্ম তৎপরতা কেমন, তারা কীভাবে কাজ করছেন এবং তাদের জনপ্রিয়তা কেমন।

পঞ্চমত, এলাকার সমস্যাগুলো কি কি এবং সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এছাড়া ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের গ্রুপিং, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন ধরণের কোন্দল করছে কিনা বা অন্য কোন অপতৎপরতা আছে কিনা এসব বিষয়ে জরিপ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে জরিপ পরিচালিত হবে এবং আগামী মার্চের মধ্যে আওয়ামী লীগ তার প্রথম জরিপের ফলাফল হাতে পাবে যেখানে আওয়ামী লীগের যে এমপিরা যেখানে আছেন সেই এমপিদের জনপ্রিয়তা এবং প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। এসমস্ত জরিপগুলো আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।

গতবারও এই জরিপের কারণে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, রেজাউল করিম হীরা সহ এরকম অনেকেই মনোনয়ন পাননি। জরিপে যদি আওয়ামী লীগের কোন এমপি জনপ্রিয় না হন তাহলে আগামী নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন যে, আগামী নির্বাচন হবে সবথেকে কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। সেজন্য এখন থেকে জরিপগুলোর মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে সমস্ত এমপিরা এলাকায় দুর্বল তারা একটি সুযোগ পাচ্ছেন এলাকায় নিজেদের অবস্থান সংহত করার জন্য। কারণ, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারে বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।